রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জাতীয়তাবাদী জনতা দল সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির অনুমোদন রৌমারীতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কৃষকদলের দোয়া মাহফিল রৌমারীতে অচল চালকলে সরকারের চাল বরাদ্দে সচল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসছেন আজ, যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে জল্পনা-কল্পনা শেষে ইসলামপুরে যুবলীগের কমিটি ঘোষণা কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির ইউনিয়ন পদযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতা আঃ খালেক। শার্শায় জমকালো সিক্সসাইড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে পাসপোর্ট করতে এসে – ২ রোহিঙ্গা আটক! বিজিবি’র অভিযানে ৬৩ পিস স্বর্ণের বার সহ পাচারকারী গ্রেফতার সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা পদক পেলেন সাংবাদিক মোঃ মাহিদুল হাসান সরকার।

কুষ্টিয়া পৌর ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্ত্রাসী সনজু’র উত্তাপে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী; নিরাপত্তা চান বাড়াদী এলাকার সাধারণ জনগণ

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৫০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

 

কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া পৌর ১৬নং ওয়ার্ডের বাড়াদী এলাকার তত্কালীন বিএনপি নেতা আশরাফুল আলম রাজা মেম্বারের পুত্র ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু জাহিদ সনজু (বিএনপি কর্মী) ক্রস-ফায়ারের আসামী হয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে প্রকাশ্যে আশার পরে গোপনে বিএনপির খাঁচ কর্মী হয়েও আওয়ামিলীগে গা ঢাকা দেওয়ার অপচেষ্টা রুখে দিতে জেগেছে আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মীরা।এদিকে বাড়াদী ভাগাড়ের মোড়ের দোকান পাট খুলতে না দিয়ে অস্ত্র সহ পাহারায় সনজু গ্রুপের সন্ত্রাসী সায়েদ, মুন্তা,বাবুল ড্রাইভার, আলম মন্ডল,শহিদুল মন্ডল। এদিকে গত ১৩তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার সময় আবারো ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান কামু ও তার বোনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে, দোকানপাট বন্ধ রাখতে বাধ্যকরে এই সনজু বাহিনী।ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে স্থানীয় দুইজন হকো মন্ডল ও রাজ্জাক শেখ দোকানে মালামাল আনতে গেলে তাদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধরক মার মারে এই সনজু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। তাত্ক্ষণিকভাবে থানায় মামলা করতে গেলে এখন পর্যন্ত মামলা আমলে নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে যথাসময়ে পুলিশ সরজমিনে সন্ত্রাসী সনজু বাহিনীকে গ্রেফতার করতে গেলে হামলার প্রধান সন্ত্রাসী আলম মন্ডল, বাবুল ড্রাইভার,চা ব্যবসায়ী মিরাজ,ইয়াকুব এর ছেলে শাহাবুল,সনজুর ভাই মনজু ও রনজু পালিয়ে যান।পরবর্তীতে পুলিশ সেখান থেকে ফিরে আসলেও এখন পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে দেয়নি এ সন্ত্রাসী বাহিনীরা। এছাড়াও জমি দখল নিয়ে সে সকল স্থানে সন্ত্রাসী সনজু বাহিনীর টিম থেকে অস্ত্র নিয়ে পাহারায় রয়েছেন খায়রুল ড্রাইভার ও বাবুল ড্রাইভার। বাবুল ড্রাইভার একাধিকবার অস্ত্রের মামলায় জেল খেটেছে এবং আলম মন্ডল হত্যা মামলায় অনেক দিন জেল খেটেছে, এরা সকলেই অত্র ১৬নং ওয়ার্ড এর তথাকথিত কাউন্সিলর সন্ত্রাসী সনজু এর পোষা স্থানীয় সন্ত্রাসী।এদের অনেকের নামে বিভিন্ন সময় হত্যা মামলা,অস্ত্র মামলা সহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা রয়েছে।এদিকে সন্ত্রাসী সনজুর ভাই রনজু ছাত্রজীবনে পলিটেকনিকে বিএনপির ছাত্রদলের (ভিপি)ক্যাডার হয়ে একাধিক ছাত্রলীগের কর্মীকে আহত করেছিলো, এছাড়াও তত্কালীন বিএনপির সুরাপ (সাবেক এমপি)র সাথে দলবদ্ধ হয়ে আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে অস্ত্র সহ একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছেন এই বিএনপির ক্যাডার সন্ত্রাসী চক্রের মূল হোতা আবু জাহিদ সনজু।এক পর্যায়ে এই আবু জাহিদ সনজু যার পড়ালেখার ও কোন ব্যাগরাউন্ড নেই, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডই ছিলো ছোট্ট থেকে তার আগাগোড়া পেশা, বিএনপির আমলে বিএনপির হয়ে আওয়ামীলীগের একাধিক কর্মীর উপরে নির্মম অত্যাচার খুন রাহাজানির কারণে এই সনজু একপর্যায়ে ক্রস ফায়ারের আসামী বনে যায়, পরবর্তীতে গা ঢাকা দিয়ে নিজেকে ১০বছর আত্মগোপনে রাখে এই সন্ত্রাসী সনজু। অথচ এখন বেশিরভাগ সময় ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে কথায় কথায় কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ (এমপি) ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের মানক্ষুন্ন করতে ব্যস্ত এই সন্ত্রাসী সনজু ও তার ভাই বিএনপি ছাত্রদলের সাবেক ভিপি রনজু এবং তনজু সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে এই বিএনপি পরিবারের পুত্র সনজু কাউন্সিলরের মূল উদ্দেশ্যই হলো সুক্ষভাবে নিজেদের আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে দলের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধিয়ে ফায়দা লুটে সার্থ হাসিল করা এবং ত্যাগি আওয়ামী নেতাদের কথায় কথায় জামাত শিবির বলে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া। এছাড়াও এই তথাকথিত কাউন্সিলরের নামে নিজ বাসার ২য় তলায় নারী দ্বারা দেহ ব্যবসা,একাধিক নারীর সাথে সম্পর্ক অবস্থায় হাতেনাতে ধরা,মাদক ব্যবসা,রানিং কাউন্সিলর ক্ষমতাবলে নিজ ওয়ার্ডের গরীব অসহায়দের জমি লিজ নেওয়ার কথা বলে কায়দা করে মূল কাগজ হাতিয়ে নিয়ে পুরো দখল নেওয়া,মঙ্গলবাড়িয়া বাজারের উপরে সরকারি জায়গায় গণশৌচাগারের অনুমতি নিয়ে সেখানে দোকান নির্মাণ করে অবৈধ ব্যবসা চালানো,এলাকার কোন বিচার আসলেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিচারের রায় ঘুরিয়ে দেওয়া সহ একাধিক অপকর্মে এই কাউন্সিলর লিপ্ত বলে জানান ১৬নং ওয়ার্ডবাসী।আর এ বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের পুরো পরিবারের উপরে নেমে আসে সনজু গুন্ডা বাহিনীর ঝড়,গত ১০তারিখ রোজ মঙ্গলবার বাড়াদী এলাকার জমিদার মৌলভী মৃত নায়েব আলী মাষ্টার মারা যাওয়াতে সুযোগ মনে করে তাদের জমি আত্মসাৎ করতে সেই বাড়ির জমিতপ যায় এই কাউন্সিলর সনজু ও তার দুই ভাই রনজু ও তনজু সহ একাধিক গুন্ডা বাহিনী,যাওয়ার পরে সেই বাড়ির ভাইদের মধ্যে কামরুজ্জামান কামুর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে এই জমি তোদের হলেও আজ থেকে আমার,যদি টুঁশব্দ করিস তো তোদের ভাইয়ের মধ্যে এক ভাইকে চিরদিনের মতো দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিবো, অতঃপর কামুর বাকি ভাই ইউসুফ, ইউনুস,হাদী বের হয়ে কামুকে বাচাতে আসলে সন্ত্রাসী কাউন্সিলর সনজু ও তার ভাই ছাত্রদলের সাবেক ভিপি রনজু ও তনজু সহ একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করে তাদের উপর,এ পরিস্থিতিতে ইউসুফ,ইউনুস,কামু ও হাদী সোরগোল তুললে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গণধোলাই দেন সন্ত্রাসী সনজু বাহিনী কে।এছাড়াও বর্তমানে এখনো সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটা মোড়ে মোড়ে সহ পুরো ওয়ার্ড জুড়ে সনজু বাহিনীর এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সমালোচনার তোলপাড় উঠেছে। সুশীল সমাজের দাবি অবিলম্বে এসকল হাইব্রিড সন্ত্রাসী সনজু বাহিনীদের চিন্হিত করে উৎখাত করা হোক।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2025 Jatiyokhobor.com

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Hostitbd.Com