রাজধানীর বনানী থানায় চিত্রনায়িকা পরীমনির নামে দায়ের করা মাদক মামলার কার্যক্রম ছয় মাস পরিচালনা না করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মামলা বাতিলে হাইকোর্টের জারি করা রুল এ সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। সোমবার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও শাহ মনজুরুল হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পি। পরে শাহ মঞ্জুরুল হক জানান, এ মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের যে রুল পেন্ডিং আছে সে রুলটা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এরমধ্যে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন তারা যেন ট্রায়ালটা প্রসিড না করে এবং ছয় মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আমরা রুল শুনানি করতে ব্যর্থ হই তাহলে মামলার প্রসিডিংস আবার চলবে। পরে শাহ মঞ্জুরুল হক জানান, এ মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের যে রুল পেন্ডিং আছে সে রুলটা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এরমধ্যে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন তারা যেন ট্রায়ালটা প্রসিড না করে এবং ছয় মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আমরা রুল শুনানি করতে ব্যর্থ হই তাহলে মামলার প্রসিডিংস আবার চলবে।
২০২১ সালের ৪ঠা আগস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব।পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর বার বার রিমান্ডে নেয়ার বিষয়ে একপর্যায়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে বিচারিক আদালত পরীমনিকে এই মামলায় জামিন দিলে কারাগার থেকে ছাড়া পান পরীমনি। পরে একই বছরের ৪ঠা অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের নামে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। গত ৫ই জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম তিনজনের অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন- পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার। পরে মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। গত বছরের ১লা মার্চ আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই বছরের ৮ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ স্থগিত করেন। এরপর পরীমনি লিভ টু আপিল করেন।
© All rights reserved © 2025 Jatiyokhobor.com
Leave a Reply