নেপালে দুর্ঘটনার শিকার ইয়েতি এয়ারলাইনসের বিমানটিতে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে ছিলেন ওশিন এলি মাগার। দুর্ঘটনার দিন তাকে তার বাবা কাজে যেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু ওশিন তা শোনেননি। বরং বাবাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন, পোখারা থেকে ফিরে তিনি পরিবারের সঙ্গে মাঘীসংক্রান্তি উৎসব পালন করবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ১৫ জানুয়ারি নেপালের পোখারা বিমানবন্দরের পাশেই ৭২ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। ধ্বংসাবশেষ থেকে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২২ বছর বয়সী ওশিন সেই বিধ্বস্ত বিমানটিতে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ওশিনের বাবা ভারতের সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মোহন এলি মাগার। অশ্রুসজল চোখে তিনি জানান, তার পরিবার মাঘীসংক্রান্তি উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সব প্রস্তুতি শেষের দিকে ছিল। অপেক্ষা ছিল কেবল মেয়ের ফিরে আসার। তিনি আরও জানান, বিশেষ এ দিনটিতে তিনি চেয়েছিলেন ওশিন যেন কাজে না যায়।
ওশিনের বাবা বলেন, ‘সে আমাকে বলেছিল, সেই দুর্ভাগা দিনটিতে সে কেবল দুটি ফ্লাইটে কাজ করবে এবং কাজ শেষে বাড়ি ফিরে সবার সঙ্গে উৎসব পালন করবে।’
কিন্তু তা আর হয়নি। তার আগেই ওশিন চলে গেছেন দুনিয়া ছেড়ে। এরই মধ্যে পরিবারের সদস্যরা পোখারায় পৌঁছেছেন ওশিনের মরদেহ শনাক্ত করার জন্য।
ওশিনের আদি নিবাস নেপালের চিতওয়ান জেলায়। তবে বছর দুয়েক আগে ইয়েতি এয়ারলাইনসে কাজ শুরু করার পর থেকে তিনি দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুতে থাকতেন। গত ছমাস ধরেই ওশিন বাবাকে তার সঙ্গে এসে থাকার অনুরোধ করে আসছিলেন।
ইয়েতি এয়ারলাইনসের বিধ্বস্ত বিমানটি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাচ্ছিল। কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে প্রাথমিকভাবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। ইয়েতি এয়ারলাইনস বা নেপাল সরকারের পক্ষ থেকেও দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা :মেজর অব: সরদার রেজাউল করিম. প্রধান সম্পাদক মোঃ জুবায়ের হোসেন. সম্পাদক ও প্রকাশক : ফারহানা সুলতানা. নির্বাহী সম্পাদক : রাফিউর রহমান অয়ন. ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : তাজরুবা করিম তাজ.কর্তৃক ৫১.৫২/এ রিসোর্স ফুল পল্টন সিটি, পুরানা পল্টন চতুর্থ তলা ঢাকা ১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং তুহিন প্রেস ২১৯/২ ফকিরাপুল প্রথম গলি মতিঝিল ঢাকা থেকে মুদ্রিত..
সার্বিক যোগাযোগ 01712245568, 01711110764, 01888715068
Mail: jkhobor2025@gmail.com
Design & Developmen By HosterCube