মন্ত্রীপুত্র মুজিব পল্লীর জায়গায় মাদ্রাসার ভিত্তি দিলেন
হেলাল হোসেন কবির:
থানায় মামলা হয়েছে তবুও রক্ষা হয়নি সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্ধারিত জমি। সেই খাস জমিতে কওমি মাদ্রাসর ভিত্তি দিলেন মন্ত্রীপুত্র রাকিবুজ্জামান রাকিব।
৩০ ডিসেম্বর বিকালে ওই জমিতে মাদ্রাসর ভিত্তি স্থাপন করেন। বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার স্থাপতি ও জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম শত বর্ষের আশ্রয় প্রকল্প নির্মাণ নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার হাজিরহাট এলাকায় আশ্রয় প্রকল্প -২ এর আওতায় মুজিব বর্ষে আশ্রয়নের জন্য জমি বরাদ্দকৃত করা হয়। জমিটি সরকারি ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত । এই জমিতে মুজিব বর্ষের আশ্রয়নের ২ টি ঘর ও ১ গণশৌগার কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন নির্মান করে।
এই ঘটনায় গত ৭ মে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলায় চার্জ গঠন করে প্রতিবেদন আদালতে জমাও দিয়েছে। এতে করে মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণ আদালতের আদেশের আসবে বলে আইনজীবী ও স্থানীয় প্রশাসন আশা করছে।
আইনকে না মেনে আদালতকে অবমাননা করে ওই জমিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের পুত্র রাকিবুজ্জামান রাকিব মাদ্রাসার নির্মাণের ভিত্তি দেয়। মাদ্রাসার ভিত্তি দেয়ার সময় কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু ও জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক ও সদর বিএনপির সভাপতি মমিনুলের বড়ভাই মইনুলকে পাশে দেখা গেছে।
এদিকে যেখানে মুজিব বর্ষে ২০টি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে ছিল। দুইটি পরিবারের ঘরনির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া হয়। বর্তমান নির্মাণে বাধা ও চ্যালেন্স হিসেবেএ ঘটনায় প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, নিচু জমি হওয়ায় মুজিব বর্ষের ঘর নির্মাণ আপাতত স্থগিত রয়েছে। এই খাস জমি কোন মাদস্রার নির্মাণে এখনো কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। কে কিভাবে সেখানে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন জানলাম খোঁজ খবর নিে প্রয়োজনীয় ববস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক ইউএনও কে ব্যবস্থা গ্রহন করতে নির্দেশ দিয়েছি।
উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতী মৌজার হাজিরহাট এলাকার ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ৫১৯২ দাগে ২২ শতক ৫১২৮ দাগে ৫৩ শতক এবং ৫১১৯ দাগে ১১ শতক মোট ৮৬ শতক জমি তে আশ্রয় প্রকল্প- ২ এর আওতায় ২০ টি মুজিব বর্ষের ঘর নির্মাণ প্রকল্প নেয়া হয়। ০২ টি ঘর পরিবারের ঘর ও একটি গণ শৌচাগার নির্মাণ করা হয়। ২টি গরীব অসহায় পরিবার আশ্রয় প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ পায়। তারা বসবাস করতে গেলে হুমকি দেয় ১টি কুচক্রি মহল। সরকারি কাজে বাধাঁ দেয়ায় জেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন যাহার স্বারক নাাম্বর- ৫১.০১.৫২০০.০০০.২৭.০০৩.১৪.১৭২।
© All rights reserved © 2025 Jatiyokhobor.com
Leave a Reply