শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জাতীয়তাবাদী জনতা দল সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির অনুমোদন রৌমারীতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কৃষকদলের দোয়া মাহফিল রৌমারীতে অচল চালকলে সরকারের চাল বরাদ্দে সচল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসছেন আজ, যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে জল্পনা-কল্পনা শেষে ইসলামপুরে যুবলীগের কমিটি ঘোষণা কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির ইউনিয়ন পদযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতা আঃ খালেক। শার্শায় জমকালো সিক্সসাইড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে পাসপোর্ট করতে এসে – ২ রোহিঙ্গা আটক! বিজিবি’র অভিযানে ৬৩ পিস স্বর্ণের বার সহ পাচারকারী গ্রেফতার সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা পদক পেলেন সাংবাদিক মোঃ মাহিদুল হাসান সরকার।

ভারতে নোট বাতিলের বিপক্ষে দাঁড়ালেন যে বিচারপতি

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। সোমবার (২ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট সেই সংক্রান্ত সমস্ত মামলার রায় একত্রে দিয়েছে।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নোট বাতিল নিয়ে যে রায় দিয়েছে, তাতে চার বিচারপতি পক্ষে মত দিলেও এক বিচারপতি বিরোধী মত পোষণ করেছেন।

পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের চার বিচারপতি বলেছেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে সরকারের পদ্ধতিগত ভুল ছিল না। কিন্তু এক বিচারপতি বলেছেন, সরকার যেভাবে এ কাজ করেছে, তা ‘আনলফুল’ বা ‘বেআইনি’।

সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ এই বিচারপতির নাম বিভি নাগারত্না। নাগারত্না বলেছেন, নোটবন্দিতে ক্ষমতা দেখানো হয়েছে, আইনের প্রয়োগ হয়নি। সে কারণেই এটি পদ্ধতিগতভাবে বেআইনি। যদিও এখন আর ওই সময়টি বদলে ফেলা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিজের বক্তব্য জানানোর সময় এই বিচারপতি বলেছেন, ‘এই ধরনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। কিন্তু এক্ষত্রে দেখা গেছে, সরকার নোট পাঠিয়ে রিজার্ভ ব্যাংককে নোট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংক তা বাস্তবায়িত করেছে মাত্র। এখানেই আইনের ব্যবহারে গলদ থেকে গেছে।’

তার মতে, সংসদে আইন এনে এ কাজ করা হলে তাতে পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকতো না। এবং এই কারণেই নোট বাতিলের পদ্ধতিটি তিনি বেআইনি বলে মনে করেন।

বেঞ্চের বাকি চার বিচারপতি অবশ্য পদ্ধতিগত ভুলের কথা বলেননি। বরং তারা বলেছেন, অভিযোগকারী এবং সরকারপক্ষের বক্তব্য থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, নোট বাতিলের ছয়মাস আগে থেকে রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে টানা আলোচনা চালিয়েছে সরকার। ফলে রিজার্ভ ব্যাংককে কেবল বিষয়টি কার্যকর করতে ব্যবহার করা হয়েছে, এমন তারা মনে করছেন না।

ভারতে নোট বাতিল হওয়ার পর সুপ্রিমকোর্ট সব মিলিয়ে ৫৮টি পিটিশন জমা পড়েছিল। সেই সবগুলো পিটিশন একত্র করে এদিন রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। রায় বের হওয়ার কথা ছিল গত ৭ ডিসেম্বর। কিন্তু বেঞ্চ রায় ঘোষণা পিছিয়ে দিয়েছিল। সোমবার তা ঘোষণা করা হলো।

পিটিশনারদের বক্তব্য ছিল, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত বদল করা হোক। কিন্তু আদালত বলেছে, তা করতে হলে সময়ের কাঁটা পিছনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এখন আর তা করা সম্ভব নয়। ফলে এই দাবি মেনে নেওয়া যায় না।

কী ঘটেছিল

২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন, সমস্ত পাঁচশ এবং হাজার টাকার নোট বাতিল করা হবে। ৫১ দিনের মধ্যে এসব বাতিল নোট ব্যাংকে জমা করতে হবে বলে জানিয়েছিল সরকার।

মোদি বলেছিলেন, কালো টাকা এবং জঙ্গি কার্যকলাপে টাকা ব্যবহার বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ। তবে সকল টাকা জমা পড়ার পর দেখা যায়, যে পরিমাণ টাকা বাইরে ছিল, প্রায় সেই পরিমাণ টাকাই ব্যাংকে জমা হয়েছে। খুব বেশি কালো টাকার হদিশ পাওয়া যায়নি বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।

পিটিশনরাদের বক্তব্য ছিল, মানুষকে এর ফলে অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। মানুষের হাতে খুব বেশি সময় দেওয়া হয়নি। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, প্রায় দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। ফলে সময় দেওয়া হয়নি কথাটি বলা যায় না।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2025 Jatiyokhobor.com

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Hostitbd.Com