শার্শা উপজেলার বেনাপোল ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা কামালের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় বেনাপোলের গয়ড়া গ্রামের মৃত্যু মিজানুর রহমানের পুত্র তোতামুল হক টুকু বাদি হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যশোর আদালতে মামলা করেন। যার মামলা নং পি- ৯৩৬/২০২২। মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, বাদী তোতামুল হক টুকুর পৈত্তিক সম্পত্তি ৮৬ নং গয়ড়া মৌজায় আর এস ৭৮৮ খতিয়ানে ৯১৩ দাগে ১১৯ শতক জমিতে ফলজ আম গাছ লাগানো আছে।বিবাদী একই গ্রামের তফেল আওলিয়ার ছেলে মুছা করিম অবৈধ ভাবে জোর পুর্বক আম বাগানের ভিতর দিয়ে স্যালো মোটরের বিদ্যুৎ সংযোগ লাগায়। বিদ্যুৎ সংযোগে ১৩০ ফুট ড্রপ তার লাগানোর নিয়ম থাকলেও সেটা না মেনে অবৈধভাবে ৮০০ ফুট ড্রপ তার লাগিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ করে মোটর চালু করে। এ বিযয়ে শার্শা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস গোপন সংবাদে জানতে পেরে বিবাদী মুছা করিমের স্যালো মোটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন সহ ড্রপ তার ও মিটার খুলে নিয়ে আসে। অথচ মোটর বসানোর জায়গাটি বিবাদীর না এবং সেখানে মুছা করিমের নিজস্ব কোন জমি নাই।এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে বিবাদী মুছাকরিম গং বাদির দুই ভাই তুহিন ও হোসাইন কে দা দিয়ে কোপায়ে ও লোহার রডের আঘাতে মারাত্বক আহত করে। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় বিবাদী মুছা করিম সহ ১১ জন কে আসামী করে পৃথক ২ টি মামলা হয়েছে। মামলা নং-৪, তাং- ৬/৮/২২ ইং, ও মামলা নং-৩০ তাং-২৩/৮/২২ ইং। প্রকাশ থাকে যে বিবাদী মুছা করিম গং সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় বাদি তার ফলজ আম বাগান নিরাপদ রাখার জন্য ১৪/১১/২২ ইং তারিখে মুছা করিম কে বিবাদী করে যশোর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করে।বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মামলা সঠিক তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার ( ভুমি) শার্শা এর মাধ্যমে বেনাপোল ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেনের দায়িত্ব দেন। অজ্ঞাত কারনে ভুমি সহকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল গিয়ে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিতে ব্যর্থ হন বলে অভিযোগ করেছেন বাদী মোঃ তোতামুল হক টুকু। তিনি আরোও জানান, ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেন আদালতে যে তথ্য প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ ব্যপারে বেনাপোল ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বাদী নারাজি পিটিশন দিক, আমি পরে সঠিক তথ্য দিবো।
© All rights reserved © 2025 Jatiyokhobor.com
Leave a Reply