রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জাতীয়তাবাদী জনতা দল সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির অনুমোদন রৌমারীতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কৃষকদলের দোয়া মাহফিল রৌমারীতে অচল চালকলে সরকারের চাল বরাদ্দে সচল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসছেন আজ, যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে জল্পনা-কল্পনা শেষে ইসলামপুরে যুবলীগের কমিটি ঘোষণা কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির ইউনিয়ন পদযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতা আঃ খালেক। শার্শায় জমকালো সিক্সসাইড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে পাসপোর্ট করতে এসে – ২ রোহিঙ্গা আটক! বিজিবি’র অভিযানে ৬৩ পিস স্বর্ণের বার সহ পাচারকারী গ্রেফতার সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা পদক পেলেন সাংবাদিক মোঃ মাহিদুল হাসান সরকার।

প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধিতে সবার আগে প্রয়োজন শিক্ষকগণের আন্তরিকতা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৪৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন ছাড়া কোন দেশ ও জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার ন ভিত্তি হল প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। এই স্তরটির গুণগত মান নিশ্চিত করতে না পারলে শিক্ষা কাঠাে দুর্বল হয়ে পরবে। সেই সাথে দেশ ও জাতির উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হবে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহনের বিভি পর্যায়ে মানুষ পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গমন করে। শিশুর প্রাতিষ্ঠানিক তথা আনুষ্ঠানি শিক্ষার শুরু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনের মধ্য দিয়ে। প্রাথমিক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য সকল শিশু জন্য মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করন। এই উদ্দেশ্য সফল হওয়া সম্ভব শিক্ষকের সক্রিয় অংশ গ্রহণ এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে। শিক্ষা সম্প্রসারণ ও জ্ঞান বিতরনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষক শিক্ষা ও সভ্যতার অধিকতর অগ্রগন অভিভাবক। শিক্ষকেরা জাতির বিবেক। একজন শিক্ষকই একটি জাতিকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেন। শিক্ষকেরা সমাজ ও জাতি গঠনে এবং শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে অগ্রণী ও উল্লেখযোগ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিকল্পিত ‘কারিকুলাম’ প্রয়োগ শিক্ষকেরাই করে থাকেন প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের অক্ষরজ্ঞান, পঠন, ও লিখন দক্ষতা ইত্যাদি তৈরী হয়। এছাড়া প্রাথমিব শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের মাঝে বিজ্ঞান, মানসিক দক্ষতা ভূগোল এবং অন্যান্য সামাজিক জ্ঞান বিজ্ঞানের ভিত্তি তৈরী করে দেয়া হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এভাবেই একটি শিশুর ভবিষৎ জীবনের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর পিছনে শিক্ষক কাজ করে থাকেন। একজন শিক্ষকই পারে শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ ভাবে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রাথমিক শিক্ষা শিশুর সামাজিক জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় বুনিয়াদী শিক্ষা ।

তাকে আগামী দিনের কান্ডারী হওয়ার পথ তৈরী করে দেয়, এর পিছনে কাজ করে শিক্ষক। শিশুকে ভবিষ্যতের দক্ষ জনসম্পদে পরিনত করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা হলো প্রথম ও প্রধান সোপান। প্রতিটি শিশুর সুষ্ঠু সামাজিকীকরণ, আনন্দময় বর্তমান, সৃজনশীল ভবিষৎ ও প্রগতিশীল উৎপাদনমুখর উন্নত সমাজ বির্নিমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর এই কাজই সম্পাদন করে প্রাথমিক শিক্ষা। “কারিকুলাম” বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষক প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন হলে প্রাথমিক শিক্ষার গুনগতমান অর্জিত হবে। এই লক্ষ্যে শিক্ষক শিশুর শিখন দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে যথার্থ কৌশল প্রয়োগ করে শিশুকে আজীবন শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলে।

প্রাথমিক অবস্থায় শিশু মনের বিকাশ ঘটাতে শিক্ষকের অবদান অপরিসীম। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্তি শতভাগ নিশ্চিত ও উপস্থিতি নিয়মিত করনের পাশাপাশি বিদ্যালয়কে শিশুদের নিকট আগ্রহী করে তুলতে শিক্ষকগন যে সকল ভূমিকা রাখে তা নিম্নরূপ- শিক্ষক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ও শ্রেণীকক্ষকে শিশু বান্ধব করে গড়ে তোলে শিক্ষাদান করে থাকে। এতে শিক্ষার্থী বিদ্যালযের প্রতি আকৃষ্ট হয়, নিয়মিত বিদ্যালযে আসে এবং পাঠ গ্রহন করে। – শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করিয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়নে সাহায্য করে থাকে। – বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষক নিজে দক্ষতা অর্জন করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উক্ত জ্ঞান বিলিয়ে দিয়ে তাদের পরিপূর্ণ মানুষ হতে সাহায্য করে। – ‘কারিকুলামের’ সঠিক বাস্তবায়ন শিক্ষকের মাধ্যমেই সজ্জিত শ্রেণীকক্ষ এবং ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করে।

শিক্ষার মান উন্নয়নে সাহায্য করে। – লেখাপড়ার পাশাপাশি শিশুদের মানসিক বিকাশেরও পর্যান্ত সুযোগ প্রদানের খেয়াল রাখে শিক্ষক। -নেতৃত্বদানে এবং শৃঙ্খলাবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্ধমিতভাবে বিদ্যালয়ে সমাবেশ, বিভিন্ন দিবস উৎযাপন করা হয়ে থাকে। – “ক্ষুদে ডাক্টার টিম” গঠনের মাধ্যমে শিশুদের মনে উন্নত স্বপ্ন দর্শনের চর্চা করা হয়ে থাকে। “স্টুডেন্ট কাউন্সিল” গঠন ও কার্যকরির মাধ্যমে শিশুদের নেতৃত্বদানে ও গণতান্ত্রিক মনোভাব সৃষ্টি করা হয়। • বিদ্যালয় প্রাঙ্গন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, বাগান/গাছ লাগানোর কাজে শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভূক্ত করে শ্রমের মর্যাদা তথা বিভিন্ন পেশা জীবির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে থাকে শিক্ষক। নানা ধরনের সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীর মাধ্যমে শিশুদের শারিরীক মানসিক বিকাশে সাহায্য করা হয়। – নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে আবেগিক বিকাশ সাধন করা হয়। – প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষাদান করে উন্নত মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করছে শিক্ষক। – দেশকে ভালবাসতে, দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করার শিক্ষা দেয়া হয় এ প্রাথমিক স্তরে। – শিক্ষার্থীর সাথে বন্ধুসুলভ আচারন এবং কোন রকম শারিরীক মানসিক শাস্তি ব্যাতিরেকে আনন্দের সাথে শিক্ষা দান করে থাকে শিক্ষক। – প্রতিনিয়ত উদ্ভাবিত নানা কৌশল যেমন গণিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞানের নানা আকর্ষনীয় কৌশল এছাড়াও প্রতিটি বিষয়ে সুন্দর সুন্দর নানা কৌশলগুলি শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে প্রয়োগের মাধ্যমে শিখন স্থায়ী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক শুধু বিদ্যালয়ে পাঠদানই করায় না পাশাপাশি অভিভাবক সমাবেশ এবং হোম ডিজিটের মাধ্যমে অভিভাবককে সচেতন করে তুলে। – প্রতিবন্ধি শিশুদের বিশেষ যত্নদানের মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। শিক্ষার মান উন্নয়ন কল্পে ম্যানেজিং কমিটিকে কার্যকরি করতে শিক্ষক ভূমিকা রাখে। শিক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারে এ লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক উপবৃত্তির কাজগুলি করে শিক্ষক অনন্য ভূমিকা রাখে। এছাড়াও নানাবিধ কাজ করে প্রাথমকি শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষাক । শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ মূল ভিত্তি হচ্ছে প্রাথমিক স্তর। প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান অর্জিত হলে দেশ ও জাতীর উন্নয়ন অবশ্যন্তরী। যোগ্যতা ভিত্তিক ‘কারিকুলাম’ বাস্তবাখনের লক্ষ্যে শিক্ষককে নানাবিধ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2025 Jatiyokhobor.com

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Hostitbd.Com